শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪ই আশ্বিন ১৪৩০

রাশেদের মাকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বিচারের আশ্বাস

জাগরণ ডেস্ক।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ তদন্তের পর বিচারের সম্মুখীন করা হবে। তিনি মঙ্গলবার নিহত রাশেদের মায়ের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে একথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসসকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ রাশেদের পরিবারকে হত্যার যথাযথ তদন্ত এবং দায়ি ব্যক্তিদের (হত্যার জন্য) বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাশেদের মাকে সান্ত্বনা জানান এবং তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন। প্রেস সচিব বলেন, রাশেদের মা তার পরিবার সম্পর্কে খোঁজ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে রাশেদ নিহত হন। তিনি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) এজেন্ট হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা চেক-পোস্ট ইনচার্জসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে এই হত্যাকান্ডের তদন্ত করছে।

নাসিমা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। ছেলের এমন মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, ‘আমিও একই পথের পথিক। আপনাকে কিছু বলার মতো ভাষা আমার নেই। আমিও পুরো পরিবার হারিয়েছি।’

নাসিমা আক্তার বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, ছেলেকে ফিরে পাব না। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার হবে।’

গত ৩১ জুলাই রাত ৯টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এই ঘটনায় একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাত নামে এক যুবকের ভাষ্য দিয়ে বলা হয়েছে, ‘কোনোরূপ জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই মেজর (অব.) সিনহার বুকে একে একে তিনটি গুলি ছোড়েন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী।’

অন্যদিকে টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সিনহা মো. রাশেদ হঠাৎ করে তাঁর কোমরের ডান পাশ থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার জন্য উদ্যত হলে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী নিজের এবং সঙ্গে থাকা অফিসার ফোর্সদের জানমাল রক্ষার জন্য চারটি গুলি করেন।’

সিনহা রাশেদকে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন