পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় বাড়ছে

জাগরণ ডেস্ক //
সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ হলেও পাট ও পাটজাত দ্রব্য থেকে রপ্তানি আয় বাড়ছে; মহামারীর মধ্যে গত দুই মাসে রপ্তানি আয়ে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে এই খাত থেকেই।
২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি এসেছে ১ শতাংশের মতো।
গত অর্থবছরে ৮৮ কোটি ২৩ লাখ ডলারে পণ্য রপ্তানি করে সংকটে পড়া চামড়া খাতকে (৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার) পেছনে ফেলে তৈরি পোশাকের পরের স্থান দখল করে নিয়েছে পাট খাত।
আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১০২ কোটি ডলার। আর পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ৮১ কোটি ৬২ লাখ ডলার আয় হয়েছিল। সে হিসেবে এক বছরে চামড়ার রপ্তানি যতটা কমেছে, তার তুলনায় পাটের রপ্তানি বেড়েছে সামান্যই।
তারপরও করোনাভাইরাসের কারণে গেল অর্থবছরে তৈরি পোশাকসহ বড় সব খাতের রপ্তানি আয়ে ধস নামলেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ে বরাবরই দেখা গেছে উল্টো চিত্র।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় কমেছে ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অন্যদিকে এই দুই মাসে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ হলেও পাট ও পাটজাত দ্রব্য থেকে রপ্তানি আয় বাড়ছে; মহামারীর মধ্যে গত দুই মাসে রপ্তানি আয়ে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে এই খাত থেকেই।
২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি এসেছে ১ শতাংশের মতো।
গত অর্থবছরে ৮৮ কোটি ২৩ লাখ ডলারে পণ্য রপ্তানি করে সংকটে পড়া চামড়া খাতকে (৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার) পেছনে ফেলে তৈরি পোশাকের পরের স্থান দখল করে নিয়েছে পাট খাত।
আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১০২ কোটি ডলার। আর পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে ৮১ কোটি ৬২ লাখ ডলার আয় হয়েছিল। সে হিসেবে এক বছরে চামড়ার রপ্তানি যতটা কমেছে, তার তুলনায় পাটের রপ্তানি বেড়েছে সামান্যই।
তারপরও করোনাভাইরাসের কারণে গেল অর্থবছরে তৈরি পোশাকসহ বড় সব খাতের রপ্তানি আয়ে ধস নামলেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ে বরাবরই দেখা গেছে উল্টো চিত্র।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় কমেছে ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
অন্যদিকে এই দুই মাসে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
গত জুলাই মাসে সরকার বিজেএমসির আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলে উৎপাদন বন্ধ করে ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে অবসরে পাঠায়। এই পাটকলগুলোতে উৎপাদিত চট, বস্তা, থলে বিদেশে রপ্তানি হত।
এবিষয়ে বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জাহিদ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন শুধু বস্তা, চট ও থলে নয়, পাটসুতাসহ পাটের তৈরি নানা ধরনের পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হচ্ছে।
“কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে পরিবেশের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসায় বিশ্বে পাট পণ্যের চাহিদা নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। এই সুযোগটি যদি আমরা নিতে পারি তাহলে আমাদের এ খাতের রপ্তানি অনেক বাড়বে; এই মহামারীর বছরেই আমরা আমাদের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হব।”
কৃষি অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক এম আসাদুজ্জামান বলেন, “আমাদের পাটের রপ্তানি বাজার বরাবরই ভালো ছিল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল আদমজী বন্ধসহ একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা সেই বাজার ধরতে পারিনি।
“এখন মহামারীর কারণে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানির যে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, সেটা আমরা কতটা কাজে লাগাতে পারব সেটাই এখন বড় বিষয়।”
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বৃহস্পতিবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-অগাস্ট) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৬৮৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ১৯ কোটি ৫৪ লাখ হাজার ডলার এসেছে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানি থেকে ।
এই দুই মাসে পাটসুতা (জুট ইয়ার্ন) রপ্তানি হয়েছে ১৪ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারের; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৭ শতাংশ। কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার; আয় বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
পাটের তৈরি বস্তা, চট ও থলে রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার ডলারের। আয় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। পাট ও পাট সুতা দিয়ে হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। সূত্র: বিডি নিউজ।