রবিবার, ৪ জুন ২০২৩ | ২১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ লাইভে রূপা: নিরন্তর কর্মের মধ্যেই আনন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক //

বাংলাদেশ ইনশিয়েটিভ লাইভে আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী বলেছেন, নাম নয়, পদ নয়, কর্মের মধ্যেই আনন্দ। জীবন থেকে আনন্দকে গ্রহন করতে হয় নির্লোভ থেকে। পদ পদবী থাকলে সাধনায় ব্যাঘাত ঘটে।

১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইনশিয়েটিভ লাইভে আবৃত্তি সংগঠন স্বননের প্রতিষ্ঠাতা এই গুণী শিল্পী কথার পিঠে কথা লাগিয়ে স্মৃতির আকাশ থেকে সোনার টুকরোর চেয়েও দামী পথচলার ইতিহাসের অংশ তুলে ধরেন। কীভাবে আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তাফার কাছে গিয়ে তাঁকে সম্মাননা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন আর গোলাম মুস্তাফা বিশ্বাসই করতে পারেননি এই ছোটো রূপা-ই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, ছোটোদের নিয়ে আবৃত্তির অনুষ্ঠান আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল স্বনন।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার স্টল পেয়ে কীভাবে প্রথম দফায় ৩০০ অডিও ক্যাসেট বিক্রি হলো-এসব নানা কথাই উঠে এলো আলোচনায় । রূপা বলেছেন, প্রতিনিয়ত সাহিত্যের মধ্যে থাকেন, তিনি শিল্পীর জীবন নিয়েই দিন যাপন করতে চান। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, কবিতা-ভাবনা নিয়ে তার ধ্যানমগ্নতা তাঁকে অন্যন্যা করে তুলেছে বলে মনে করেন বোদ্ধাজনেরা। করোনাকালেও অন্তর্জালে অনুষ্ঠান করে যাচ্ছেন অভিনবত্বের মধ্য দিয়ে রূপা। রূপা মনে করেন, জীবন হচ্ছে দেওয়ার জন্য, জীবন ভোগের জন্য নয়। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে আবৃত্তি শুনিয়েছেন রূপা চক্রবর্তী। বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ লাইভ সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক পার্থ সারথি দাস।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বস্ত, নিরন্তর কর্মে প্রবহমান দেশের অন্যতম আবৃত্তি সংগঠন ’স্বনন’। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সংগঠনের ৩৫ বছরের যাত্রা শেষ হচ্ছে। তারুন্যের উজ্জ্বল ভবিয্যত নির্মাণে সহায়ক একদল শিল্পী এই সংগঠনের মাধ্যমে আবৃত্তিচর্চাকে শিল্পে উন্নীত করেছেন। শুধু তাই নয়, শুরু থেকেই শিশুদের আবৃত্তিচর্চায় উৎসাহিত করেছে সংগঠনটি। নিখাদ আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী একজন রূপা চক্রবর্তী এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি শুরু থেকে এখনো সানন্দে স্বননকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

সংবাদটি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন