সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে থাকে আওয়ামী লীগ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় দুর্গত মানুষের পাশে আছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি দলীয়ভাবেও আমরা মানুষের পাশে আছি।’
তিনি বলেন, ‘করোনায় কৃষকের ধান কাটার সমস্যা ছিল। আমি বলার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ মানুষের ধান কেটে দিয়েছে। এভাবে সব দুর্যোগ দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকে।’
রোববার (২ মে) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নগদ অর্থসহায়তা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। আমরা সব সময় চিন্তা করি কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াব, মানুষকে সহযোগিতা করবো। আওয়ামী লীগ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কাজ করে যাচ্ছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে বিনা পয়সায় খাদ্য সহায়তা দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেটা চালু হয়ে গেছে। এক দফা দেয়া হয়েছে, আবার আমরা দেব।’
‘এখন আমরা বিভিন্ন শ্রেণির যেমন ভাসমান মানুষ, নির্মাণশ্রমিক, গণপরিবহন শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, নরসুন্দর, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক এবং যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করেন, তাদের আমরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যেককে সাধ্যমতো যা কুলায় অর্থাৎ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এখানে প্রায় ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে নগদ সহায়তা আমরা দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণি-পেশার মানুষকে সহযোগিতা সব সময় অব্যাহত থাকবে।
‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এটা খুবই মারাত্মক। এটা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় একদিকে যেমন খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে, আবার আর্থিক সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ৬৪ জেলায় ইউনিয়ন হিসাব করে ডিসিদের কাছে কিন্তু টাকা আমরা রেখে দিয়েছি।
‘যেকোনো জায়গায় যখন প্রয়োজন হবে তারা যেন তাৎক্ষণিকভাবে খরচ করতে পারে, এ জন্য এটা দিচ্ছি। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, এটা জাতির পিতাই করে দিয়েছিলেন, সেখানেও আমরা ১০ কোটি টাকা দিয়ে দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ছাড়া শিল্পী বা যন্ত্রসংগীতশিল্পী তাদেরও আমরা দিচ্ছি। মসজিদ-মাদ্রাসা কোনো জায়গাই আমরা বাদ দিইনি। আমি একটা কথা বলব, অন্তত দুস্থ মানুষ যারা, আপনারা তাদের পাশে একটু দাঁড়াবার চেষ্টা করবেন।’
এ সময় সমালোচকদেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা, এটা করেনি, ওটা করেনি সরকার সমালোচনা করছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, নিজে কয়টা লোককে সাহায্য করেছেন? তার একটা হিসাব পত্রিকায় দিয়ে দেন। তাহলে মানুষ আস্থা পাবে।’
এদিন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা-ভ্যান চালক, মোটরশ্রমিক, কর্মহীন বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
আগামী তিনদিনের মধ্যে এসব পরিবারের কাছে নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছে যাবে।