শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫ই আশ্বিন ১৪৩০

কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হলো সাংবাদিক রোজিনাকে

চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এরপর প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। অপরদিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

এরপর তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজিপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ নিয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, রিমান্ড শুনানি নামঞ্জুর হওয়ার পর তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় আনা হয়। এরপর প্রিজন ভ্যানে করে তাকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।

গতকাল প্রথম আলো পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাকে সেখানে একটি কক্ষে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তার পরিবার তাকে হাসপাতালে নিতে চাইলেও তা দেয়নি পুলিশ। রাতে শাহবাগ থানায় অফিশিয়াল সিক্রেট আইনের (১৯২৩) ৩ ধারায় তার নামে মামলা হয়।

এর আগে, সোমবার (১৭ মে) বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা ইসলাম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়, সংগ্রহ সংক্রান্ত গোপনীয় নথি নাড়াচাড়া ও শরীরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এ সব নথি জনগণের সামনে এলে অন্যান্য দেশের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।

তবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের দাবি, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দাবি করেছেন, সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে অপেক্ষা করছিলাম, এসময় পিএস সাইফুল ইসলাম নথিপত্র গায়েবের অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে একজন পুলিশ কনস্টেবল ডেকে তার শরীরে হাত দেন। তাকে সাজানো অভিযোগে পিএস আটকে রাখে বলে দাবি করে তিনি বলেন, তিনি কোনো নথিপত্র নেননি।

সংবাদটি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন