যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ চীনের

হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এবার সিচুয়ান প্রদেশের চাংতুতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে চীন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘যোগ্য জবাব’ দিতে তারা এ সিন্ধান্ত নিয়েছে।
‘মেধাস্বত্ব’ চুরি করতে চীন সরকার তার দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র পাঠাচ্ছে। চীনা নাগরিকরা ভিসা আবেদনে প্রকৃত পরিচয় বা চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের তথ্য গোপন করে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে। এমনকি চীন সেনাবাহিনীর বিজ্ঞানীদের গবেষণার নামে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কনস্যুলেট বন্ধের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়। অর্থাৎ, শুক্রবারের মধ্যে কনস্যুলেটটি বন্ধ করতে হবে। এদিকে, শুক্রবারই যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধের আদেশ জারি করলো চীন।
বাণিজ্য যুদ্ধ, হংকংয়ে চীনের আধিপত্য, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস মহামারীর মত বিষয় নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধ তুঙ্গে।
যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ‘অকারণ ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় জবাব দিতেই’ কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘‘বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যেখানে গিয়ে ঠেকেছে চীন সেটা দেখতে চায় না এবং এর দায়ভার সম্পূর্ণরূপে যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
‘‘আমরা আরো একবার যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল সিদ্ধান্তগুলো প্রত্যাহার করে নিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরির অনুরোধ করছি।”
১৯৮৫ সালে চাংতুতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে সেখানে দুই শতাধিক কর্মী রয়েছেন। কনস্যুলেটটি তিব্বতের খুব কাছে হওয়ার কৌশলগত দিক দিয়েও সেটি যুক্তরাষ্ট্রেরর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।